বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করবো এ বিষয়ে জানার জন্য অনেকে গুগোল কিংবা ইউটিউবে অনেক বেশি সার্চ করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে না জানার কারণে বা খুঁজে না পাওয়ার কারণে আপনার প্রবলেমটা সলভ করতে পারেন না। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করবেন যখন আপনার একমাত্র মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় তখন তার করার কিছুই নেই। আপনার যদি এমন এই চিন্তা ধারণা হয়ে থাকে তাহলে এটা একদমই সঠিক নয়। কেননা এসব সমস্যার সমাধান তো রয়েছেই তো আপনি যদি এই সব সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কী করবেন এটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিকাশ বলতে গেলে বিকাশ একাউন্টের গ্রাহক অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর চেয়ে অনেক বেশি এবং অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বলা চলে বিকাশ একাউন্ট সেফটির দিক থেকে অনেক উন্নত মানের। বিকাশ তাদের গ্রাহক বৃদ্ধি করার জন্য বা জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য আরও নানান ফিউচার যোগ করছে তাদের বিকাশ অ্যাপের মধ্যে।
তুই যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই তাদের একমাত্র ব্যাংক হচ্ছে বিকাশ যার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা আদান প্রদান করা যায় এবং সর্বপ্রকার নিরাপত্তার সাথে। বিকাশ একাউন্ট এর মধ্যে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। তাছাড়া বিকাশ এর পক্ষ থেকে তাদের গ্রাহকের জন্য রয়েছে অনেক বিশেষ বিশেষ অফার। তাই সবদিক থেকে বাংলাদেশের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গুলোর অন্যতম হচ্ছে বিকাশ। তাই এর মধ্যে যদি আমাদের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কি করবো এটা নিয়ে চিন্তা করে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আজকের এই আর্টিকেলে।
কেননা আজকেরে আর্টিকেলে আমি ঐ সমস্ত লোকদের কথা চিন্তা করি আর্টিকেলটি সাজাবো যারা কিনা গুগোল কিংবা ইউটিউবে গিয়ে প্রতিনিয়ত সার্চ করে থাকে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করবো? বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ কি? বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি? বিকাশ একাউন্ট ফিরিয়ে আনতে কি করব ইত্যাদি। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কি হতে পারে।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করবো। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি?
বিকাশ একাউন্টে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায় তখন আর এই সমস্যার কারণ খুঁজে বের করা কিংবা এই সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় এ বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করা কিংবা সলভ করা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। কেননা বিকাশের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে বা এত প্রয়োজন আছে যে যার কারণে এখন প্রায়ই তাদের গ্রাহক সংখ্যা 10 কোটি 28 লাখ এর উপরে। তুই এখন তো বুঝতেই পারছেন তাদের গ্রাহক সংখ্যা থেকে তাদের জনপ্রিয়তা কত শীর্ষে।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হবার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলো আমি নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এখন শেয়ার করব বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করব এই বিষয় নিয়ে। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক দেরি হয়ে যাবে তাই সংক্ষিপ্ত তার দিকে লক্ষ করে আজকে মাত্র বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয় কি এর মাত্র দুটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। যে বিষয়গুলো আপনি অবলম্বন করে আপনার বিকাশ একাউন্ট বা আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরে আনতে পারবেন। সে দুইটি বিষয় নিচে দেওয়া হলঃ
- বিকাশ হেল্পলাইন সেন্টার কল করে আপনার সমস্যা সমাধান করা। এক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে জানাবেন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে এখন করনীয় কি? নিচে বিস্তারিত দেওয়া হবে।
- সরাসরি বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট কিংবা কাস্টমার কেয়ারে কি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি বা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করব এই বিষয়ের সম্পর্কে জানা কিংবা সমস্যাটা সলভ করা।
মূলত আসলে বলতে গেলে এই দুটি উপায়ে ব্যতীত আর কোন উপায় আপনি আশা করি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। তাই এখন এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে আপনারা ভাল ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে অবশ্যই এ সম্পর্কে জ্ঞাত হবেন। সো লেটস স্টার্ট।
বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করে বিকাশ বন্ধ একাউন্ট ফিরিয়ে আনার উপায়।
আপনি কি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি বা কিভাবে ফিরিয়ে আনব এই নিয়ে চিন্তিত আছেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই তৎক্ষণাৎ তাদের অর্থাৎ বিকাশ হেল্পলাইন কন্ট্যাক্ট করবেন। কেননা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়া থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য এটি একটি অন্যতম এবং সহজ উপায় যার মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার রিস্ক ছাড়া আপনার অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পারেন। তু কাস্টমার কেয়ারের সাথে কল করে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ফিরিয়ে আনবেন এটা দেওয়া হলঃ-
- সর্বপ্রথম আপনার যে সিমে বিকাশ আছে সেই সিম থেকে আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড এ গিয়ে ডায়াল করতে হবে ১৬২৪৭ এই নাম্বারে।
- কল করার পর আপনাকে অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে তাদের কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলার অপশন টি।
- কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার দেওয়া কলটি তাদের কোন একজন কাস্টমার প্রতিনিধি রিসিভ করবে। তো এখন আপনার প্রধান কাজ হচ্ছে তাদেরকে আপনার সমস্যাটি জানান যেন তারা আপনার প্রবলেমটা সলভ করে দিতে পারে। অর্থাৎ আপনি এখন কাস্টমার প্রতিনিধি কে বলবেন আমার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে তো এখন আমি আমার একাউন্টটি সচল করতে চাই।
- আপনি তাদেরকে সমস্যাটি জানানোর পর তারা আপনার থেকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে। তো এখন আপনি যদি তাদেরকে সঠিক উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দিবে।
বিকাশ একাউন্টের প্রতিনিধিরা আপনার কাছ থেকে ক্ষেত্রভেদে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো আপনার নাম জিজ্ঞেস করা হবে বা আপনার বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হবে বলতে গেলে আপনার এনআইডি কার্ডের সব তথ্য জিজ্ঞেস করতে পারে। বলা চলে তারা এনআইডি কার্ড এবং আপনার বিকাশ একাউন্টের লেনদেন ব্যতীত অন্য কোন কিছু জিজ্ঞেস করবে না। বিশেষ করে তারা জানতে চাইবে অর্থাৎ তারা কনফার্ম হয়ে নিবে আপনি বিকাশ একাউন্টের মালিক কিনা। মূলত এসব তথ্য জিজ্ঞেস করার মূল বিষয় হচ্ছে বিকাশ একাউন্টের মালিক কিনা সেটা কনফার্ম হয়ে নেওয়া।
তো আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে সচ্ছল করে দিবে। তো আপনি তাদের বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলে এই ভাবেই আপনার একাউন্টটি সচল করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
বিকাশ এজেন্ট কিংবা কাস্টমার প্রতিনিধির কাছে সরাসরি গিয়ে বিকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়া একাউন্ট সচল করা।
বিকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়া একাউন্ট সচল করার এটি হচ্ছে দ্বিতীয় উপায় যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই তাদের নিকট গিয়ে একেবারে বিকাশ একাউন্টের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে সরাসরি বিকাশে প্রতিনিধির কাছে গিয়ে একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্ট ফিরিয়ে আনতে হয়।
- সর্বপ্রথম আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্টের মালিকের সাথে নি বা যদি আপনি নিজে হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার নিকটস্থ কোনো একটা বিকাশ সেবা কেন্দ্রে বা এজেন্ট পয়েন্টে যোগাযোগ করুন।
- তাদের কাছে কি আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানাতে হবে অর্থাৎ আপনি জানেন আমার একাউন্টটা এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে এবং সেটি আমি সচল করতে চাই। তাদেরকে জানাবেন আমার একাউন্টটি কেন বন্ধ হয়ে গেল এবং আমার এই অ্যাকাউন্টটি আবার চালু করতে চাই।
- আপনি তাদেরকে সমস্যা জানানোর পর তার আপনার সিমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে কিনা এবং আপনি সেই বিকাশ একাউন্টের মালিক কিনা সেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিবে।
- এবং তারা আরও মিলানোর চেষ্টা করবে আপনার ছবির সাথে যে ছবিটি বিকাশে ইনপুট হয়ে আছে সেটের সাথে আপনার চেহারা মিলানোর চেষ্টা করবে।
যদি সবকিছু যাচাই বাছাই করার পর তারা জানতে পারে যে আপনি সেই বিকাশ একাউন্টের মালিক তাহলেই তৎক্ষণাৎ আপনার বিকাশ একাউন্টটি সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করবে।
মূলত এটাই হলো দ্বিতীয় উপায় যার মাধ্যমে কোন একটা বন্ধ হয়ে যাবে বিকাশ একাউন্ট খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যে ফিরে আনা যায়। মূলত এই বইটিতে আপনাকে কোন ঝামেলায় জড়াতে হচ্ছে না। ঝামেলাহীন আপনি আপনার একাউন্টটি ফিরিয়ে আনতে পারতেছেন।
তো এখন পর্যন্ত আমরা দুটি অভিযান নাম যার মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে কি করবো? বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় কি? এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পারলাম। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ কি এই বিষয়টি নিয়ে অন্য একটি আর্টিকেল বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তো আজকের এই কষ্ট কার লেখা আর্টিকেল টি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার পরিজনের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা হয়তো আপনার একটা শেয়ার এর কারনে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন কোন একটা অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে।